![]() |
প্রি-পেইড মিটার |
এ ব্যাপারে তিনি আজাদীকে জানান, প্রি-পেইড মিটারের এবারের নতুন প্রকল্পে আমরা নগরী ও আশপাশের এলাকার ৩ লাখ গ্রাহককে নতুন স্মার্ট মিটার দিচ্ছি। এই স্মার্ট মিটারের সুবিধা হচ্ছে আগের মতো আমাদের (ভেন্ডিং স্টেশন গিয়ে কিংবা মোবাইলের দোকানে গিয়ে রিচার্জ করে প্রি-পেইড মিটারে গিয়ে ১৯টি ডিজিট টিপতে হবে না। নিজের মোবাইলে ব্যালেন্স থাকলে মিটারের কোড নাম্বারে সরাসরি রিচার্জ করা যাবে। মিটারের কাছে আর যেতে হবে না। চলতি বছরের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে ৩ লাখ গ্রাহক এ ডিজিটাল মিটার পাবেন। এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চার লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার পেয়েছে। নতুন প্রকল্পে আরো ৩ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার পেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রায় ৭ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, পিডিবির অধীনে ‘প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন সাউদার্ন জোন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ২০১৮ সালে আরো তিন লাখ নতুন গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দেওয়া হয়। নতুন প্রকল্পের অধীনে আরো ৩ লাখ নতুন গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।
২০১৮ সাল পর্যন্ত চার লাখের বেশি গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক।
পিডিবি চট্টগ্রামের হিসেব মতে, চট্টগ্রামসহ আশেপাশের এলাকায় প্রি-পেইড মিটার পায়নি এরকম গ্রাহক রয়েছে আরও তিন লাখ। তাদেরকেও ২০২০ সালের মধ্যে এ ডিজিটাল মিটারের আওতায় আনা হবে। বিদ্যুতের অপচয় রোধে গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার দেয়া হচ্ছে। আর ২০২০ সালের মধ্যেই বন্দরনগরীর সব মিটার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ফলে নগরীতে প্রতিদিন ১৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।
bangla news update
No comments:
Post a Comment