বৃষ্টি ভোগান্তি মাথায় নিয়েই ঈদ যাত্রা
রাত সাড়ে দশটায় গাবতলী থেকে ঈগল পরিবহনের বাসে দুই সন্তানসহ খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল রাহেলা বেগমের।
কিন্তু গাবতলি বাস টার্মিনালে গিয়ে জানতে পারেন, উত্তাল পদ্মায় ফেরি চলছে ধীরে। তাদের নিয়ে যে বাসটি যাত্রা করার কথা ছিল সেটি দৌলদিয়া ফেরি ঘাটে আটকা পড়েছে বাসটি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফিরে এলে রাহেলা বেগম নির্ধারিত সময়ের 10 ঘন্টা পর খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
গাবতলী বাস টার্মিনালে গতকাল দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাসের অপেক্ষায়থাকাযাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছিল।
কারণ তুমুল বৃষ্টিতে বাইপাইল,সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটে আটকে ছিল। এরপর ও গতকাল প্রবল বৃষ্টি মাথায় করেই রাজধানীর বাস টার্মিনাল,রেলষ্টশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ঢল নামে।
ঈদুল আজহার আগে সর্বশেষ কর্মদিবস গতকাল বিকেল থেকে এই ভীড় ছিল উপচে পড়া। অপেক্ষার প্রহর গুনে প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে বাসে ট্রেনে উঠতে হয়েছে বাড়ি ফেরা মানুষকে। সদরঘাটে রাতের লঞ্চ ধরতে ভিড় উপচে পড়ছিল বিকেল থেকেই।
বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে যেতে বাস থেকে রওনা হয়ে মিরপুর 1, মিরপুর 12, পল্লবী, কালশী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর সহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রচন্ড যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা।
অনেকে গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটতে থাকে। গতকাল দুপুর আড়াইটায় টেকনিক্যাল মোড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে ছুটছিলেন নাবিল আহমেদ। তিনি জানালেন পটুয়াখালী যাওয়ার বাস ছাড়বে তিনটায়। এর আগেই পৌঁছাতে হবে টার্মিনালে।
মহাখালী সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এসব টার্মিনালে যাত্রীদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে।তার পরে ও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। শুভ হোক তাদের যাত্রা।
রিপোর্টার কালের কন্ঠ
(bangla news update)
No comments:
Post a Comment